মেয়েদের জন্য অল্প পুঁজিতে ঘরে বসে ব্যবসার আইডিয়া

আমাদের দেশের মেয়েরা ছেলেদের পাশাপাশি সংসারে বাড়তি ইনকাম অথবা নিজের পায়ে দারাতে ব্যবসা করার উদ্যাগ নেয়। তবে তাদের ব্যবসা সম্পর্কে ভাল আইডিয়া না থাকায় তারা অনেকেই অনেক দ্বিধার মধ্যে পরে। এছাড়াও অনেকেই ব্যবসা সম্পর্কে ভাল করে কিছু না জেনে ব্যবসা শুরু করে দেয়। যার ফলে তারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

আজকে আমরা জানবো, এমন কিছু ব্যবসা সম্পর্কে যা অল্প পুঁজিতেই শুরু করা যায়। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

আজকে আমরা জানবো, এমন কিছু ব্যবসা সম্পর্কে যা অল্প পুঁজিতেই শুরু করা যায়। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

 

— কুটির শিল্পের ব্যবসা :

কুটির শিল্প একটি ক্ষুদ্র ব্যবসা । যেটি আপনি ঘরে বসে হাতের কাজের মাধ্যমে বিভিন্ন শিল্প সৃষ্টি করতে পারেন। যেমনঃ বেতের চেয়ার, ঝাড়ু, টুপি, ঝুড়ি, বেতের টেবিল, পাখা এবং বিভিন্ন তৈজসপএ ইত্যাদি। বর্তমানে এসব পণ্যের বেশ চাহিদা রয়েছে। ধনী থেকে গরিব সকলের কাছেই এসব পণ্য পাওয়া যায়।

এই ব্যবসা শুরু করতে তেমন বেশি মুলধনের প্রয়োজন নেই । মাএ ১০০০০ টাকা মুলধন নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করা যায়। আপনি চাইলেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

— খাবার বিক্রি করা :

আমাদের দেশের মেয়েরা অন্যান্য দক্ষতার পাশাপাশি রান্না করার বেশ দক্ষতা রয়েছে। তারা চাইলেই এই দক্ষতাকে সঠিক যায়গায় কাজে লাগাতে পারে। বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে তাদের তৈরি করা খাবারের বিজ্ঞাপন দিয়ে ঘরে বসেই আয় করতে পারে।

অনেকেই তাদের তৈরি করা খাবার অনলাইনে বিক্রি করে আজ তারা সাবলম্বি। আপনিও পারেন বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে খাবার বিক্রি করে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলতে।

— ম্যাকআপ কনসালটেন্সি সার্ভিস :

আমাদের দেশের মেয়েরা নিজেকে সাজিয়ে তুলতে খুব পছন্দ করে। তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সুন্দরভাবে সেজে নিজেকে অন্যর কাছে উপস্থাপন করতে ভালোবসে। এছাড়াও অনেকে ম্যাকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করে বেশ ভাল পরিমানে আয় করছে। আপনি যদি সাজসজ্জায় বেশ ভাল দক্ষ হয়ে থাকেন। তাহলে আপনিও একজন ম্যাকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করে বেশ ভাল পরিমানে আয় করতে পারেন। অনলাই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে আপনি যে সাজসজ্জায় খুব পারদর্শী সেটা মানুষকে জানাতে পারেন।

— অনলাইনে পোশাক বিক্রি করা :

মানুষ দিন দিন অনলাইনের সুযোগকে কাজে লাগাছে। তারা এখন মার্কেটে গিয়ে কেনাকাটার বদলে অনলাইনে পণ্য অর্ডার করছে। তাই অনলাইন ব্যবসার প্রসার ঘটেছে।

অনেক মহিলা আছে যারা এই অনলাইন সুযোগককে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক বিক্রি করে আজ তারা স্বাবলম্বী। আপনি যদি একজন পোশাক ডিজাইনার হয়ে থাকেন। তাহলে আপনিও পারেন নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলতে। এছাড়াও আপনি যদি পোশাক তৈরির কাজ না জানেন তাহলে প্রশিক্ষণ নিয়ে এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 

— ব্লগ বিজনেস :

আপনি যদি লেখালেখি করতে ভালোবাসেন এবং কম্পিউটার চালানোর অভিজ্ঞতা থাকে। তাহলে আপনার জন্য এই বিজনেসটি প্রযোজ্য। একটি ব্লগ সাইট খুলে সেখানে আপনি নিয়মিত লেখালেখি করতে পারেন। তারপর ভিজিটরের মাধ্যমে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন আপনার সাইটে দিয়ে আয় করতে পারেন। এভাবেই আপনি আপনার বিজনেসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। 

— বুটিক শপ :

নারীরা এখন ঘরে বসে না থেকে বেশ উদ্যোগী হয়ছে। তাদের উদ্যোগের ফলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বুটিক শপ চালু হয়েছে। কারন তারা বিভিন্ন ডিজাইনের কাপড় তৈরিতে বেশ ভাল পারদর্শী।

আপনি যদি ভাল ডিজাইনার হয়ে থাকেন এবং বুটিক ব্যবসা সম্পর্কে আপনার বেশ ভালো ধারনা থাকে। তাহলে এই ব্যবসা আপনার জন্য প্রযোজ্য। আপনিও পারেন ভোক্তাদের চাহিদামত জামাকাপড় এবং বিভিন্ন কসমেটিক্স সাপ্লাই দিতে। 

— ড্রপ শিপিং এর ব্যবসা :

ড্রপ শিপিং হচ্ছে এমন একটি বিজনেস যেটি অনলাইনে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ আপনার অনলাইনে একটি দোকান রয়েছে। যেখানে ক্রেতা কোন পণ্যের অর্ডার করে তখন আপনি ওই পণ্যের মালিকের কাছে পন্যটি অর্ডার করেন। তারপর তারা সরাসরি সেই পণ্যটি ক্রেতার নিকট পৌঁছে দেয়। মূলত এটি হলো ড্রপ শিপিং বিজনেস। এই ব্যবসায় তেমন একটা মুলধনের প্রয়োজন পরে না। তাই আপনি চাইলে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 

— কোচিং সেন্টার :

স্কুল, কলেজ এবং এলাকায় কোচিং সেন্টার দিয়ে অনেকেই আজকাল প্রচুর পরিমানে আয় করছে। আর যারা খুব দক্ষতার সাথে ছাএ পড়াচ্ছে তাদের নাম সমাজে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পরছে। যার ফলে ছাএ-ছাএীর সংখ্যা বাড়ছে। আপনিও যদি একজন দক্ষ টিচার হয়ে থাকেন। তাহলে আপনিও পারেন এলাকায় বা স্কুল/কলেজের পাশে কোচিং সেন্টার খুলে ভাল আয় করতে। 

— চাইল্ড কেয়ার সেন্টার :

আমাদের দেশে বেশিরভাগ জনগষ্টী আর্থিকভাবে দুর্বল। তাই পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদেরও চাকরি করতে হয়। তবে তাদের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার কারন হচ্ছে। তাদের সন্তানের লালন-পালন। এক্ষেএে তাদের অন্যতম ভরসার স্থল হচ্ছে চাইল্ড কেয়ার সেন্টার। আপনার বাসা যদি এমন এলাকায় হয় যেখানে চাকরেজীবী পরিবারের সংখ্যা বেশি তাহলে আপনি পারেন সেখানে চাইল্ড কেয়ার সেন্টার খুলে নিজেকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে। এছাড়াও আপনি যদি এ কাজ নিজে একা করতে না পারেন তাহলে সমাজে আরও কিছু মহিলা নিয়ে এ কাজ করতে পারেন।

— নার্সারির ব্যবসা :

এটী একটি মহিলাদের জন্য অন্যতম বিজনেস আইডিয়া। এতে মুলধনের পরিমান কম লাগে। বাড়ির ছাদ, বাড়ির উঠান এবং বাড়ির কোন খালি জায়গা থাকলে সেখানে চারাগাজ, বীজ, সার ইত্যাদি বিক্রির জন্য নার্সারি গড়ে তুলতে পারেন। বর্তমানে নার্সারির বেশ ভাল চাহিদা রয়েছে। তাই আপনি নার্সারি ব্যবসা করে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারেন।

 

 

আশাকরি আর্টিকেলটি আপনাদের ভাল লেগেছে। যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই পরবর্তী লেখাটি পড়ার বিনীত অনুরোধ রইল।