কথায় বলে ‘স্বাস্থ্যই হলো প্রকৃত সুখ’। বড় ধরনের রোগে আক্রান্ত না হলে এই কথার মর্ম বোঝা মুশকিল। তাই নিজেকে সুখি রাখতে হলে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা জরুরি। আজকে আমরা জানবো কী করলে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া যায়।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক,
পর্যাপ্ত পানি পান করা :
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করা উচিত। কারণ পানি হজমের শক্তি বৃদ্ধি করে, হাড়ের জোড়া শক্ত ও দেহের অঙ্গের ঠিকমতো কাজ করতে সহযোগিতা করে। এছাড়াও পানি শরীরের বর্জ্য পদার্থ বের করে এবং ত্বক ভালো রাখে। তাই নিজেকে সুস্থ্ রাখতে পানির কোন বিকল্প নেই।
সূর্যের আলো গ্রহন করা :
সূর্যের আলোতে রয়েছে ‘ভিটামিন ডি’। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমত বাড়ায়, হাড়ের সমস্যা ও ত্বকের সমস্যা দূর করে। এটির অভাবে শিশুরা রিকেট রোগে আক্রান্ত হয় যার ফলে তাদের পায়ের হাড় বেঁকে যায়। প্রাপ্তবয়স্করা অস্টিওম্যালাসিয়া রোগে আক্রান্ত হতে পারে যা তাদের হাড় দুর্বল করে ফেলে। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট সূর্যের আলো গ্রহন করা প্রয়োজন।
পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম ও বিশ্রাম করা :
নিজেকে সুস্থ রাখতে ও মানসিক চাপ কমাতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম। একজন প্রাপ্ত বয়স্কলোকের দৈনিক সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো উচিত। পর্যাপ্ত পরিমান না ঘুমালে বাড়তে পারে উচ্চ রক্তচাপ এবং হাইপার টেনশন হতে পারে। এছাড়াও 'লিভিং অরগানিজমগুলো ঠিকমতো কাজ না করা ও শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া ইত্যাদি। পরিমান মতো ঘুম হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস :
সুস্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। শরীরকে ঠিকঠাক রাখতে তাজা ফল, আমিষ, সবজি ও শষ্যজাতীয় খাবার সবচাইতে ভালো। অন্যদিকে ফাস্টফুড, ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত শর্কজাতীয় খাবার খেলে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়ায়। এর ফলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন। তাই এইসব খাবার পরিহার করতে হবে।
শরীরচর্চা :
পেশিবহুল শরীর গঠনের জন্য প্রয়োজন ব্যায়াম। সপ্তাহ পাঁচ দিন ৩০ মিনিট করে ব্যায়াম করলে শরীর ৮৫% ভালো থাকে। প্রতিদিন শরীরচর্চা করলে উচ্চ রক্তচাপ কমে ও কোলেসট্রল নিয়ন্ত্রণে থাকে। নিয়মিত ব্যায়ম মন এবং শরীরকে প্রফুল্ল রাখে। এছাড়াও ক্যান্সার থেকে রক্ষা পেতে ব্যায়ামের গুরুত্ব অপরিসীম।
আশাকরি আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে পরবর্তী আর্টিকেলটি পড়ার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি।
1 Comments
ছয ঘন্টা ঘুমালে কি কোনো ক্ষতি আছে বা রাত কয়টার মধ্যে ঘুমানো উচিত
ReplyDelete