মাটিতে বাসা বানায় যে ৭ প্রজাতির পাখি

সব উরন্ত পাখি কিন্তু মাটিতে বাসা বানায় না তাদের মধ্যে কিছু উরন্ত পাখি আছে যারা মাটিতে বাসা বানায় সাধারণত যেসব পাখি হাঁসের মতো দেখতে এবং জালযুক্ত পা রয়েছে তারাই মাটিতে বাসা বাঁধে কারন তারা মাটি থেকে খাবার সংগ্রহ করে থাকে

এখন প্রশ্ন হলো, কোন পাখি মাটিতে বাসা বাঁধে?

পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরণের পাখি মাটিতে বাসা বানায় যেমন তাদের মধ্যে শোরবার্ড (অ্যাভোসেট, কিলডিয়ার এবং স্যান্ডপাইপার), জলপাখি (হাঁস এবং গিজ), ওয়েডিং বার্ড (রেল, ক্রেন এবং ফ্ল্যামিঙ্গো), গেম বার্ড (কোয়েল এবং টার্কি) ইত্যাদি চলুন যেনে নেওয়া যাক যে পাখি মাটিতে বাসা বানায়

. তীরের পাখি (শোরবার্ড) :

ডাঙার পাখিরা বেশিরভাগই ডাঙায় বাসা বাধে যেখানে গাছের প্রাচুর্য নেই এদের মধ্যে কিছু পাখি আছে যারা ঘাসযুক্ত স্থানে বাসা বানায় পাখিরা শিকারিদের কাছ থেকে রক্ষা পেতে তারা উপকূল এলাকা বেছে নেয় তবে এসব পাখিদের বাসা সমুদ্রের জলের ঢেউয়ের ঝুঁকিতে থাকে

মাটিতে বাসা বাঁধে এমন পাখিরা হল: কিলডিয়ার, অ্যাভোসেটস, স্যান্ডপাইপার।

১.২ কিলডিয়ার : কিলডিয়ার বেশ অভিনয় গুণ সম্পূর্ণ একটি মজার পাখি এদের বাসার কাছাকাছি কোন শিকারি প্রাণী   আক্রমণ করার চেষ্টা করলে এরা বিভিন্ন অভিনয় করে শিকারীদের বিভ্রান্ত করার জন্য এরা এমনভাবে চিৎকার করে যেন এদের পাখা ভেঙ্গে গেছে

কিলডিয়ার লম্বা প্রায় ১০ ইঞ্চি হয় থাকে এরা বিভিন্ন ধরনের পতঙ্গ খায় কিলডিয়ার একাদিক বাসা তৈরি করে এর মধ্য থেকে স্ত্রী পাখিটি যেকোন একটি বাসা বেছে নেয়

১.২ আমেরিকান অ্যাভোসেট : পুরুষ এবং মহিলা অ্যাভোসেটরা ডাঙার উপযুক্ত স্থানে মাটি আঁচড়িয়ে বাসা তৈরি করে বাসা তৈরিতে পুরুষ মহিলা উভয়ই একসাথে কাজ করে থাকে মাটি আঁচড়ানো শেষ হলে তারা সেখানে ঘাস, পালক, নুড়ী এবং অন্যান্য বস্তু দিয়ে ডেকে দেয়

আমেরিকান অ্যাভোসেট পাখিদের বাসা সমুদ্রের জলের ঢেউয়ের ঝুঁকিতে থাকে এরা লম্বায় প্রায় ৪৫ সে.মি (১৮ ইঞ্চি) হয়ে থাকে

১.৩ দাগযুক্ত স্যান্ডপাইপার : আপনি স্যান্ডপাইপারকে নদীর তীরে একক বা জোড়া অবস্থায় দেখতে পাবেন এদের আবাসস্থল পানির কাছাকাছি অর্থাৎ পানির ধারের প্রায় ১০০ গজের মধ্যে বাসা তৈরি করে এদের বাসার গভীরতা - ইঞ্চি হয়ে থাকে

স্যান্ডপাইপার লম্বায় প্রায় ১৮-২০ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে এরা বিভিন্ন জলজ পোকামাকড় খায় স্যান্ডপাইপার ডিম পাড়ে -৪টি ডিম ফুটতে সময় লাগে ২২-২৫ দিন


. ওয়েডিং বার্ডস
দীর্ঘ পা এবং চটপটে পায়ের আঙ্গুল সহ বিস্তৃত পাখিকে "ওয়েডিং বার্ড" বলতে বোঝায় যা তাদের জলে হাঁটতে সাহায্য করে এরা নোনা মিঠা পানিতে বাস করে, যেমন পুকুর, নদী, জলাভূমি ইত্যাদি

মাটিতে বাসা বাঁধে এমন পাখিরা হল: ক্রেন, রেল, ফ্ল্যামিঙ্গো

২.১ স্যান্ডহিল ক্রেন (সারস) : স্যান্ডহিল ক্রেন পাখি গুলো বাসা তৈরির পূর্বে অঞ্চল ঠিক করে নেয় এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত, তারা অগভীর পানিতে নলখাগড়া, জলজ উদ্ভিদ, ঘাস ইত্যাদি দিয়ে বাসা তৈরি করে এদের বাসার ব্যাস - ফুট এবং উচ্চতা - ইঞ্চি

মজার বিষয় হচ্ছে, স্যান্ডহিল ক্রেন পাখি তাদের সমগ্র জীবন একই এলাকায় বাসা করে থাক যেকোন একটি সঙ্গী মারা গেলেও এরা আরেকজন নতুন সঙ্গী নিয়ে একই জায়গায় নতুন বাসা তৈরি করে এদের খাদ্যের মধ্যে রয়েছে শস্যবীজ, ঘাসবীজ, গাছের কচিডগা, ব্যাঙ এবং কীটপতঙ্গ ইত্যাদি সারস ডিম পাড়ে -২টি ডিম ফুটতে সময় লাগে ২৬-৩৫ দিন

২.২ ভার্জিনিয়া রেল : ভার্জিনিয়া রেল অনেকগুলি বাসা তৈরি করে কিন্তু এরা যেকোন একটি মাএ বাসা বেছে নেয় জলজ উদ্ভিদ, ঘাস ইত্যাদি দিয়ে ভার্জিনিয়া রেল বাসা তৈরি করে পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই বাসা তৈরিতে অংশ নেয় এবং তাদের বাসা তৈরিতে প্রায় 1 সপ্তাহ সময় লাগে

ভার্জিনিয়া রেলের বাসা দেখতে অনেকটা বাটি আকৃতির মতো

২.৩ আমেরিকান ফ্ল্যামিঙ্গো : আমেরিকান ফ্ল্যামিঙ্গো কাদা দিয়ে তাদের বাসা তৈরি করে পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই তাদের পা এবং বিল দিয়ে মাটির ঢিবি তৈরিতে অংশ নেয় তাদের বাসার উচ্চতা মাটি থেকে প্রায় 12 ইঞ্চি উঁচু দেখতে অনেকটা প্রাসাদের মতো ডিমকে বন্যা তীব্র তাপ থেকে দূরে রাখতে এদের বাসা এতো উঁচু হয়ে থাকে

বাসা তৈরির পর, স্ত্রী বাসাটির উপরে একটি বড় ডিম পাড়ে এবং পুরুষ স্ত্রী উভয়ই সেই ডিম তা দেয় আমেরিকান ফ্লেমিংগোর উচ্চতা ১২০ থেকে ১৪৫সেমি (৪৭ থেকে ৫৭ইঞ্চি) পর্যন্ত লম্বা হয় পুরুষদের ওজন গড়ে . কেজি হয় এবং স্ত্রীদের গড়ে . কেজি (. পাউন্ড) হয়

. জলপাখি (ওয়াটারফাউল) :

ওয়াটারফাউল শব্দের অর্থ হল হাঁস-মুরগির প্রজাতির পাখি যারা পানির মধ্যে এবং আশেপাশে সময় কাটায় জলপাখিরা সবাই মাটিতে বাসা বানায়, যদিও তারা উড়তে পারে জলপাখিরা জলের কাছে বাসা বাঁধে কারন যখন কোন শিকারী আক্রমণ করে তখন তারা জলের মধ্যে লাফ দেয়

মাটিতে বাসা বাঁধে জলপাখিরা হল: রাজহাঁস, হাঁস, গিজ।

৩.১ ট্রাম্পিটার রাজহাঁস : ট্রাম্পিটার রাজহাঁস তারা তীর থেকে 600 ফুটের মধ্যে বাসা তৈরি করে শুকনো শাখা, ক্যাটেল, নলগুলি ব্যবহার করে এরা বাসা বানায় এরা বছরের পর বছর একটি বাসা ব্যবহার করে একটি বাসা সম্পূর্ণ করতে প্রায় ১৪-৩৫ দিন সময় লাগে

ট্রাম্পিটার রাজহাঁসের বাসা দেখতে অনেকটা বাটির আকার বাটির আকার ১০-১৫ ইঞ্চি জুড়ে এবং - ইঞ্চি গভীর এই পাখিরা বেশিরভাগ সময় জলাধারে থাকে তাই তারা জলের নীচে মাথা নিমজ্জিত করে শিকড়, অঙ্কুর, কান্ড ইত্যাদি খায় এছাড়াও ছোট মাছ, ছোট কীট এবং খোলস অগভীর জলে তাদের শিকারে পরিণত হয়

৩.২ আমেরিকান কালো হাঁস : মহিলা আমেরিকান কালো হাঁস বাসা তৈরির জন্য একটি ভাল লুকানো জায়গা খোঁজে যেমন ঝোপঝাড় এলাকা সেখানে তারা পা দিয়ে মাটি খুঁড়ে বাসা তৈরি করে সে বাসাটিতে কিছু ডাল, ছোট পাতা, ডালপালা যোগ করে তারপর - টি ডিম পারে আমেরিকান কালো হাঁসের গড় ওজন ৭২০,৬৪০ গ্রাম (.৫৯.৬২ পাউন্ড) এবং এদের দৈর্ঘ্যের -৯৯ সেমি (৩৫- ইঞ্চি) ডানার পরিমাপ ৫৪-৫৯ সেমি (২১-২৩ ইঞ্চি)

আমেরিকান কালো হাঁস আগভীর জলে বিভিন্ন জলাভূমি ঘাস, শামুক, অ্যাম্পিপডস, পোকামাকড়, ঝিনুক, ছোট মাছ এবং জমিতে চারণ করে খায়

৩.৩ কানাডা গিজ : কানাডা গিজ একটি বুদ্ধিমান পাখি তারা এমন একটি এলাকায় তাদের বাসা তৈরি করে যেখানে তারা তাদের শিকারী এবং সবকিছু পর্যবেক্ষণ করতে পারে, তবে সেটা জলের কাছাকাছি একটি আমেরিকান কালো হাঁসের মতো, একটি মহিলা কানাডা গিজও তাদের বাসা তৈরি করে এবং ডিম পাড়ে তারপর ডিমের নীচে শরীরের পালক যুক্ত করে আর পুরুষ কানাডা গিজ তাদের বাসা পাহারা দেয় 

তাদের বাসা দেখতে অনেকটা কাপ আকৃতির কানাডা গিজ ঘাস, জোঁক, শ্যাওলা এবং অন্যান্য উদ্ভিদ সামগ্রী খেয়ে থাকে


. খেলা পাখি :

খেলার পাখির দুটি জাত রয়েছে যেমন মাটিতে বাসা বাঁধে এবং গাছে বাসা বাঁধে

যে পাখিরা মাটিতে বাসা বাঁধে তারা হল: কোয়েল, টার্কি, গ্রাউস।

৪.১ ক্যালিফোর্নিয়া কোয়েল : ক্যালিফোর্নিয়ার কোয়েল বাসা তৈরির জন্য ঝোপঝাড়, গাছ বা গাছের বাইরে একটি স্থান বেছে নেয় পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই বাসা তৈরিতে অংশ নেয় তারা মাটি থেকে ১০ ইঞ্চি উপরে বাসা তৈরি করে এদের বাসার আকার - ইঞ্চি এবং - ইঞ্চি গভীর

একটি কয়েল থেকে প্রায় ২৮টি ডিম পাওয়া যায় ক্যালিফোর্নিয়ার কোয়েল বীজ, পাতা, ফুল, তাজা অঙ্কুর এবং পোকামাকড় খায়


৪.২ টার্কি : টার্কির বাসা সাধারণত গাছ এবং ঝোপের স্তূপের নিচে পাওয়া যায় এরা একটু উড়তে পারলেও মাটিতে বাসা বাঁধে বাসা তৈরির জন্য মহিলা সমস্ত দায়িত্ব নেয়, যেমন মাটি কাটা, নকশা করা, সাইডওয়ালের আস্তরণ ইত্যাদি এদের বাসের আকার হল ইঞ্চি গভীর, -১৩ ইঞ্চি লম্বা এবং -১১ ইঞ্চি চওড়া

র্টাকি সাধারণত কলমিশাক, লতা পাতা এবং সবুজ শাকসবজি খেয়ে থাকে একটি প্রাপ্তবয়স্ক র্টাকির গড় ওজন -১০ কেজি এবং অল্প বয়স্ক র্টাকির গড় ওজন .- কেজি হয়ে থাকে ছয় মাসের মধ্যে র্টাকি ডিম দেয় একটি টার্কি মুরগ থেকে বছরে প্রায় ২০০-২৫০ টি ডিম পাওয়া যায়

৪.৩ রাফড গ্রাউস : রাফড গ্রাউস সাধারণত মিলনের পর বাসা বাঁধার জায়গা বেছে নেয় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বাসা তৈরির জন্য তারা পছন্দ করে যেমন গাছের গোড়া এবং শিলা, ব্রাশের স্তূপ, খোলা মাঠ শিকারীদের উপর নজর রাখতে, তারা খোলা জায়গা বেছে নেয়

এদের বাসার আকার বাটি-আকৃতির এবং ফাঁপা-বিষণ্নতা ঘাস দিয়ে সারিবদ্ধ বাসার মাপ ইঞ্চি এবং ইঞ্চি গভীর রাফড গ্রাউস গাছের ফল, কুঁড়ি, পোকামাকড় ইত্যাদি খায় এরা থেকে ১৪ টি ডিম পারে

. উড়ন্ত পাখি :

উড়ন্ত পাখিরা মাটিতে তাদের বাসা তৈরি করতে বাধ্য এরা ডিম পাড়ে যা অন্যান্য পাখির তুলনার চেয়ে অনেক বড় তারা বালিতে নিজেদের ছদ্মবেশী করার চেষ্টা করে

উড়ন্ত পাখি যারা মাটিতে বাসা তৈরি করে তারা হল: উটপাখি, রিয়াস, ইমুস

৫.১ সাধারণ উটপাখি : উটপাখির বাসাটি অনেক বড় হয় অর্থাৎ এই বাসাটিতে একবারে 60টি ডিম থাকতে পারে ভাবুন তো তাহলে বাসাটি কত বড়! প্রতিটি ডিমের আকার আবার 6 ইঞ্চি ব্যাস

পুরুষ উটপাখি মাটি খুড়ে বাসা তৈরি করে এদের বাসার মাপ হল ৩০-৬০ ইঞ্চি গভীর এবং মিটার চওড়া ঊটপাখি বছরে প্রায় ২০ থেকে ১০০ টি ডিম পারে এদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে তৃণলতা, ঘাস, দানাদার খাদ্য, ফল ইত্যাদি একটি প্রাপ্ত বয়স্ক ঊটপাখির গর ওজন ৬৩-১৩০ কেজি হয়ে থাকে

৫.২ গ্রেটার রিয়া : বৃহত্তর রিয়া বাসা বাঁধার জন্য একটি গোপন এলাকা নির্বাচন করে বেশ কয়েকটি স্ত্রী রিয়া সঙ্গমের পর পুরুষরা লাঠি, লতা ইত্যাদি দিয়ে বাসা তৈরি করে প্রজনন মৌসুমে নদী বা হ্রদের কাছে এদের বাসা পাওয়া যায় একটি গ্রেটার রিয়া বছরে 50 থেকে 80টি ডিম পারে

একটি প্রাপ্তবয়স্ক রিয়ার গড় ওজন 20-27 কেজি (৪৪৬০ পাউন্ড) এবং এরা ১২৭ থেকে ১৪০ সেমি (৫০-৫৫ ইঞ্চি) পর্যন্ত লম্বা হয়। সাধারণত মহিলাদের চেয়ে পুরুষরা বেশি লম্বা হয়। বৃহত্তর রিয়ার গড় আয়ু ১০.৫ বছর হয়ে থাকে। 

৫.৩ সাধারণ ইমু : উচ্চতার দিক থেকে ইমুস হল পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম পাখি লম্বায় এটি প্রায় ১৯০ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে সাধারণ ইমুদের ওজন প্রায় 70 থেকে 100 পাউন্ড হয় তারা মূলত অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, ইন্দোনেশিয়া এবং নিউ গিনিতে থাকে এরা মাটিরে বাসা তৈরি করে পুরুষ এবং মহিলা উভয় সাধারণ ইমু5 মাস পর্যন্ত একসাথে থাকে

ইমু বছরে ২৫ থেকে ৩৫টি ডিম পারে এবং তাদের ডিম ফোটাতে প্রায় সপ্তাহ সময় লাগে ইমুর খাবার তালিকার মধ্যে রয়েছে বীজ, ঘাস এবং পোকামাকড় ইত্যাদি


. জলজ পাখি :

জলজ পাখিদের আবাসস্থল দ্বীপ এবং রকি পর্বতমালার কাছাকাছি এরা সাধারণত নুড়ি, পাথর দিয়ে বাসা তৈরি করে এবং ঘাস, ডালপালা, পাতা, সবজি দিয়ে সারিবদ্ধ থাকে

জলজ পাখি যারা মাটিতে বাসা বানায়: পেঙ্গুইন, রেজারবিলস, অকলেট

৬.১ ম্যাকারনি পেঙ্গুইন : ম্যাকারনি পেঙ্গুইনরা কর্দমাক্ত বা নুড়িযুক্ত জায়গায় পাথর নুড়ি দিয়ে বাসা বানায় আপনি উপকূল দ্বীপ এলাকায় তাদের বাসা দেখতে পাবেন এই পাখির বাসা স্ক্র্যাপের চেয়ে বেশি এবং ঘাসের সাথে সারিবদ্ধ

ম্যাকারনি পেঙ্গুইনের ওজন প্রায় ৫.৫ কেজি (১২ পাউন্ড) হয়ে থাকে এবং এরা লম্বায় (২৮ ইঞ্চি) হয়। এরা খুব দক্ষ ডুবুরি যারা নিয়মিতভাবে ১৫-৭০ মিটার (৫০-২৩০ ফুট) গভীরে গিয়ে ছোট ছোট মাছ শিকার করে। তবে তাদেরকে ১১৫ মিটার (প্রায় ৩৭৫ ফুট) গভীরে ডুব দিতে দেখা গেছে। ম্যাকারনি পেঙ্গুইনের জীবনকাল ৮ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে।

৬.২ রেজারবিল : পশ্চিম আইসল্যান্ডে এই বিশেষ পাখিটি অবশ্যই দেখতে পাওয়া যায় এছাড়াও মেইনগাল্ফের উপসাগরের পূর্ব দ্বীপগুলিতে রেজারবিল কিছুটা দেখতে পাবেন রেজারবিল নুড়ি, সবজি, পাথর ইত্যাদি দিয়ে বাসা বাঁধে এদের বাসার মাপ হল ১১. ইঞ্চি লম্বা এবং . ইঞ্চি চওড়া

রেজারবিল পানির নিচে ডুব দিয়ে এবং পানির উপর সাঁতার কেটে মাছ ধরে খায় সাধারণত রেজারবিল মাছের সন্ধানে সমুদ্রের ২০ মিটার গভীরে ডুব দিয়ে থাকে

৬.৩ গণ্ডার অকলেট : সমুদ্র থেকে প্রায় 650 ফুট দূরে, গন্ডারের অকলেট পুরুষ এবং স্ত্রীরা তাদের বাসা তৈরির জন্য একটি গর্ত খনন করে তারা সবসময় জোয়ার থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য একটি উঁচু এলাকা বেছে নেওয়ার চেষ্টা করে গর্তের শেষে, ঘাস, ডালপালা এবং পাতা দিয়ে সারিবদ্ধ একটি বাসা তৈরি করে

গণ্ডার অকলেট খাদ্যের তালিকায় রয়েছে ছোট মাছ, স্কুইড, ক্রিল ইত্যাদি

. পেলাজিক পাখি :

এটি সমুদ্রের পাখিদের একটি দল পেলাজিক পাখিরা প্রজনন এবং বাসা বাঁধার মৌসুমে সমুদ্রের মাটিতে ফিরে আসে পুরুষ বাসা বাঁধার জায়গা নির্বাচন করে এবং বাসা রক্ষা করে

পেলাজিক পাখি যারা মাটিতে বাসা বানায়: ফ্রিগেটবার্ড, বুবিস, অ্যালবাট্রসেস।

৭.১ ম্যাগনিফিসেন্ট ফ্রিগেটবার্ড : ম্যাগনিফিসেন্ট ফ্রিগেটবার্ড একটি গ্রাউন্ড নেস্টার, তবে এটি ছোট গাছের শীর্ষে বাসা তৈরি করে পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই একটি বাসা তৈরিতে কাজ করে, যদিও সে বাসা বাঁধার জায়গা বেছে নেয় একটি বাসা নির্মাণ করতে সময় লাগে ১৩ দিন

পুরুষ সাধারণত গাছ থেকে লাঠির মতো উপকরণ সংগ্রহ করে এবং মহিলাদের কাছে পাঠায় ম্যাগনিফিসেন্ট ফ্রিগেটবার্ড মেয়েরা ছোট গাছের উপরে লাঠি দিয়ে বাসা তৈরি করে

৭.২ নীল পায়ের বুবি : নীল পায়ের বুবি পাথুরে এলাকায় তাদের বাসা তৈরি করে তাদের বাসাটি বাটি আকৃতির এবং মলে ভরা এদের তীক্ষ্ণ চোখ হয় এবং অনেক উঁচু থেকে মাছ কে লক্ষ করে বা ৪০ ফুট উঁচু থেকে ডুব দেয়

ক্যালিফোর্নিয়ার উপসাগর থেকে দক্ষিণে পেরু পর্যন্ত এরা বংশবৃদ্ধি করে নীল পায়ের বুবি দুই থেকে তিনটি ডিম পারে এই ডিম ফুটতে ৪৫ দিন সময় লাগে পুরুষ এবং মহিলা উভয় বাচ্চাদের খাবার খাওয়ায় বাচ্চারা দুই মাস মা-বাবার সাথে থাকে

৭.৩ কালো-ভ্রুযুক্ত অ্যালবাট্রস : সমতল উপকূলীয় এলাকাগুলিতে কালো-ভ্রুযুক্ত অ্যালবাট্রস বাসা বাঁধে তারা প্রতি বছর বাসা ব্যবহার করে কাদা, গুয়ানো, ঘাস, সামুদ্রিক শৈবালের একটি শক্ত স্তম্ভ মাটিতে তাদের বাসা তৈরি করে

প্রধানত অ্যালবাট্রস বাস করে অ্যান্টার্কটিকায় একটি প্রাপ্ত বয়স্ক অ্যালবাট্রসের ওজন ১১ কেজিতে পৌছাতে পারে এদের ডানা মিটারের বেশি বিস্তার অ্যালবাট্রস একটুও ক্লান্ত না হয়ে দিনে প্রায় ১০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পারি দিতে সক্ষম এরা সমুদ্রের গভীরে ডুব দিয়ে তাদের খাদ্য সংগ্রহ করে

আশাকরি আর্টিকেলটি আপনাদের ভাল লেগেছে যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই পরবর্তী লেখাটি পড়ার বিনীত অনুরোধ রইল

Post a Comment

2 Comments

  1. এইরকম তথ্যবহুল আলোচনার জন্য ধন্যবাদ

    ReplyDelete
  2. সত্যি আর্টিকেলটি খুব ভাল লাগলো

    ReplyDelete