গ্যাস্ট্রিক সমস্যার দ্রুত সমাধানে করণীয়


অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহনের ফলে আজকাল বেশিরভাগ লোক অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগছেন। অতিরিক্ত ভাজাপোড়া, ফাস্টফুড, অসময়ে খাবার খাওয়া ইত্যাদি এসব কারনে ছোট থেকে বড় সকলেই গ্যাস্ট্রিকে আক্রান্ত হন। আর এর লক্ষন হিসেবে বুক জ্বালাপোড়া, পেট ফাঁপা এবং বদহজম দেখা দেয়। এসব সমস্যা দূর করতে অনেকেই অনেক মেডিসিন গ্রহন করেন। কিন্তু একসময় এসব মেডিসিন তেমনভাবে আর কাজ করে না।

তাই আজকে আমরা কিছু ঘরোয় উপায় জনবো যা গ্যাস্ট্রিকের হাত থেকে নিস্তার পেতে সাহায্য করবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাকঃ-


পানি : নিয়মিত সকালে খালি পেটে পানি পান করলে পেটের পরিপাকতন্ত্র স্বাভাবিক থাকে। পানির গুন ক্ষমতা অনেক বেশি। কারন পানি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। তাই প্রতিদিন পানি পান করলে পেটের গ্যাস বের হয়ে আসে। যার ফলে অ্যাসিডিটির জ্বালাপোড়া ও পেট ফাঁপা দূর হয় যায়। এজন্য নিয়মিত দুই গ্লাস পানি পান করুন।


আদা : আদাতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করে। আদা খেলে গ্যাসের সমস্যা, বদ হজম ও বুকে জ্বালাপোড়া কমে যায়। আদার রসের সাথে মধু মিশিয়েও খেতে পারেন এর ফলে অ্যাসিডিটি অনেকটাই উপশম হবে। এছাড়াও আদা কুচি করে লবণ মিশিয়ে খেলেও আপনার গ্যাসের সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে।

দই : আমদের দেহের পাকস্থলীতে `এইচ পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া`রোগ হয় যার কারনে অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়। দই খেলে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এছাড়াও দইয়ে রয়েছে বিফিডাসের, অ্যাসিডোফিলাস ও ল্যাকটোব্যাকিলাস মতো নানা ধরনের উপকারী ব্যাকটেরিয়া যা দেহের হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করে এবং পেটের গ্যাস বের হয়ে আসে।


পেঁপে : প্রতিদিন পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। কারন পেঁপেতে রয়েছে প্যাপেইন নামক অ্যানজাইম যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে। কাঁচা বা পাকা দুইভাবেই আপনি পেঁপে খেতে পারেন। দুইভাবেই এর কার্যকারিতা পাবেন।


মেথি : প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথির পানি পান করতে পারেন। কারন মেথিতে রয়েছে দ্রবণীয় ফাইবার যা গ্যাস্ট্রিক ও কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকে রেহাই দেয়। তাই প্রতিদিন এক গ্লাস মেথির পানি পান করুন।


দারুচিনি : দারুচিনি হলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ ভেষজ। দারুচিনি গুড়া করে এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে ফুটিয়ে খান। এতে গ্যাস্টিকের সমস্যা থেকে আরাম পাবেন। আপনার যদি পানিতে মিশেয়ে খেতে অস্বস্তি লাগে তাহলে কয়েকটুকরা দারুচিনি নিয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন। দারুচিনি পেটের হজম শক্তি বাড়ায়।  

শসা : শসা খেলে পেট ঠান্ডা থাকে। শসাতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাস্ট্রিকের হাত থেকে নিস্তার পেতে সাহায্য করে। এছাড়াও শসা খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।


পুদিনা পাতা : এক গ্লাস পানিতে কয়েকটি পুদিনা পাতা ফুটিয়ে খেতে পারেন। এতে গ্যাস, পেট ফাঁপা, বমিভাব দূর করে। আপনি যদি পুদিনা পাতার রস খান তাহলে আপনার শরীরের সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে।

 


আশাকরি আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। এ সম্পর্কে যদি আরো কিছু জানতে চান তাহলে আমরা আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছি আমাদের পরবর্তী আর্টিকেলটি পড়ার জন্য।

Post a Comment

0 Comments