বর্তমান ডিজিটাল যুগে প্রত্যেকেই আমরা বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপের সংঘে পরিচিত। আর এসব অ্যাপের মধ্যে কিছু অ্যাপ রয়েছে যেগুলো আমরা নিয়মিত ব্যবহার করে থাকি। দৈনন্দিন এই অ্যাপগুলো আমাদের জীবনকে সহজ করে তুলেছে। তাছাড়া এই অ্যাপগুলো থেকে আমরা নিয়মিত বিভন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে থাকি। তাই আজকে আমরা এমন ১০ টি অ্যাপ সম্পর্কে জানবো। যেগুলো আমরা নিয়মিত ব্যবহার করে থাকি। তাহলে চলুন শুরু করা যাক-
১. Google Translate :
এটি একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস। যেটি অন্য ভাষা বুঝতে বা শিখতে সাহায্য করে। আপনি যদি কোন দেশে ঘুরতে যান। তাহলে সে দেশের মানুষের ভাষা বুঝতে সাহায্য করবে এই Google Translate। ২০২২ সালের লাস্ট গুগল ট্রান্সলেট আপডেট প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্বের মোট ১৩৩ টি ভাষা তারা এই অ্যাপস এ সংযুক্ত করেছে। এর মধ্যে বাংলা ভাষাও সংযুক্ত রয়েছে। Google Translate এর কিছু বিশেষ সুবিধা রয়েছে। যেমন আপনি কোন ভাষা পড়তে না পারলে গুগল সাইন্ড সিস্টেম শুনে পড়তে পারবেন, নিজের ভাষাকে অন্য ভাষার সাথে কনভার্ট করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি লিখতে না জানলে গুগল ট্রান্সলেটের সাউন্ড আইকনে ক্লিক করে মুখে বললেই অটোমেটিক লিখায় পরিণত হয় ইত্যাদি।
২. Google Notes :
আমরা অনেকেই নিয়মিত লেনদেন করি। আর এই
লেনদেনের হিসাব বিভিন্ন খাতায় লিখে রাখি বা মুখস্ত করে রাখি। একটা সময় পর সেই লেখা
খাতাটি হারিয়ে ফেলি বা মুখুস্ত করা ডাটা ভুলে যাই। তখন লেনদেনে গরমিল তৈরি হয়। তাই
আমরা যদি Google
Notes লিখে রাখি
তাহলে ভুলে যাওয়া বা হারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না। Google Notes আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে
পারি। যেমন পারিবারিক ক্ষেত্রে, ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে এবং ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে ইত্যাদি।
সুতরাং বুঝতেই পেরেছেন এই অ্যাপটি কত জরুরি। তাই এটি নিয়মিত ব্যবহার করা হয়।
৩. pathao apps
:
মানুষ কোথাও যাওয়ার ইচ্ছে করলে যাতায়েতের জন্য pathao ব্যবহার করে থাকে। বর্তমান বিশ্বে এটি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। মানুষের গুরুত্বপূর্ণ সময় ও দীর্ঘ যানজট থেকে রক্ষা এই অ্যাপটির মূল কাজ। ঘনবসতি শহরে ট্রাফিক জ্যাম একটি কমন বিষয়। একবার ট্রাফিক জ্যামে আটকা পরলে ১ ঘন্টা অনায়েসে চলে যায়। তাই মানুষ এখন বাস কিংবা টেক্সি ব্যবহার কমিয়ে দিয়ে pathao ব্যবহার করে অল্প সময়ে তার গন্তব্যে পৌছাচ্ছে। pathao apps এর সুবিধা ভোগ করতে আপনাকে এটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ইনস্টল করতে হবে। অ্যাপের ভিতর প্রবেশ করে আপনার লোকেশন দিয়ে সার্চ দিলেই আপনার এরিয়াভিত্তিক সার্ভিস প্রদানকৃত ব্যক্তিদের পেয়ে যাবেন। তখন তারা আপনার লোকেশনে এসে আপনাকে নিয়ে যাবে এবং আপনার নির্দিষ্ট স্থানে পৌছে দিবে।
৪. Canva :
বাংলাদেশে অসংখ্যা গ্রাফিক্স ডিজাইনার রয়েছে। যারা গ্রাফিক্স ডিজাইনে খুব পারদর্শী। canva তে অসংখ্যা গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ রয়েছে। যা একজন ডিজাইনারকে গ্রাফিক্স কাজে সহযোগিতা করে। canva থেকে আপনি ভিডিও এডিটিং ও গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে ভালো ধারোনা পাবেন। যা আপনার কাজকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাই প্রতিদিন অসংখ্যা লোক এই অ্যাপটি ব্যবহার করে।
৫. Toffee :
আমাদের দেশের অসংখ্যা লোক টিভি দেখতে পছন্দ করে। যা একধরনের নেশায় পরিনত হয়েছে। তাই তাদের জন্য নিয়ে এসেছে Toffee মোবাইল অ্যাপ। যার মধ্যে ১০০ টির ও বেশি চ্যানেল রয়েছে। Toffee apps এ দেশি ও আন্তর্জাতিক সব ধরনের চ্যানেল রয়েছে। আপনি চাইলে যেকোন দেশের চ্যানেল দেখতে পারবেন। তাই প্রতিদিন বহু লোক এই অ্যাপটি ব্যবহার করে। এসব সুযোগ-সুবিধা পেতে আপনাকে গুগল প্লে স্টোর থেকে এই অ্যাপস ইনস্টল করতে হবে।
৬. Food panda :
মানুষের হাতে খাবার পৌছানোর সার্ভিসগুলো মধ্যে Food panda বাংলাদেশের অন্যতম মোবাইল অ্যাপস। নানা ব্যস্ততার কারনে অনেকসময় খাবার তৈরি করতে বিরক্তবোধ তৈরি হয়। তখন অনেকেই আমরা Food panda থেকে বিভিন্ন খাবার অর্ডার করে থাকি। সাধারণত ফুড পান্ডার খাবারগুলো বিভিন্ন নামীধামী রেস্তোরা থেকে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। ফুড পান্ডার যথেষ্ট ডেলিভারি ম্যান থাকায় খুব অল্প সময়ে কাষ্টমারের কাছে খাবার পৌছে দিতে সক্ষম। প্রতিদিন অসংখ্যা লোক ফুডপান্ডা অ্যাপটি ব্যবহার করে। আপনি যদি এই অ্যাপের সুবিধা ভোগ করতে চান। তাহলে আপনাকে গুগল প্লে স্টোর থেকে থেকে এই অ্যাপস ইনস্টল করতে হবে।
৭. Snaptube :
Snaptube মোবাইল অ্যাপস যেখানে ইউটিউবের সব ধরনের ভিডিও এবং অডিও দেখার সুযোগ রয়েছে। আপনি Snaptube অ্যাপস ব্যবহার করে যেকোনো পছন্দের মুভি ডাউনলোড ও শেয়ার করতে পারবেন। আপনি যদি কোন কিছু ডাউনলোড করেন তাহলে ডাউনলোড করা ফাইলটি এই অ্যাপের ক্যাশে জমা হবে। তখন সেখান থেক আপনি শেয়ার বা ডিলিট করতে পারবেন। এছাড়াও এর মতো আরও অনেক অ্যাপস রয়েছে যেমন vidmet।
৮. Automatic Call Recorder :
আমরা প্রতিদিনি মোবাইল ফোনে কারো না কারো সাথে কথা বলি। এর মধ্যে অনেক সময় এমন কথা হয় যা প্রমান রাখাটা জরুরি। আপনি যদি কোন অফিসে চাকরি করেন তখন অফিসের কাজে অনেক employee র সাথে আপনাকে যোগাযোগ করতে হয়। তখন আপনার ও তার মাঝে অনেক কথা হয় যার মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন থাকে যেগুলো রেকর্ড করে রাখাটা জরুরি। যাতে পরবর্তীতে এগুলো প্রমাণস্বরূপ পেশ করা যায়। তাই অনেকেই আমরা এই Automatic Call Recorder ব্যবহার করে থাকি।
৯. bKash :
সুরুক্ষিত টাকা লেনদেনের ক্ষেএে বিকাশ একটি অন্যতম মোবাইল অ্যাপস। এটি একটি মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম। লেনদেনের ক্ষেএে বিকাশ গ্রাহকদের অর্থের সর্বোচ্চ নিরাপওা দেয়। বিকাশে অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। যেমন বিভিন্ন বিল প্রদান করা, মোবাইল ফোনে টাকা রিচার্জ করা ও বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার ইত্যাদি। বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করলে অনেক সময় অনেক অফার পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি বিকাশের সুযোগ-সুবিধা পেতে চান। তাহলে গুগল প্লে স্টোর থেকে এই অ্যাপস ইনস্টল করে একটি একাউন্ট খোলার মাধ্যমে আপনি লেনদেন করতে পারবেন।
১০. SHAREit :
এক মোবাইল থেকে অন্য মোবাইলে কোন ফাইল
বা মুভি ট্রান্সফার করার জন্য SHAREit অ্যাপসটি ব্যবহিত হয়। SHAREit অ্যাপসটি চায়নার তৈরি যা
বর্তমানে খুব জনপ্রিয় অ্যাপস হিসেবে পরিচিত। যেকোন স্মার্ট ফোন থেকে অন্য স্মার্ট ফোনে
গান, মুভি, নাটক ইত্যাদি অতিসহজেই শেয়ার করা যায়।
আশাকরি আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে।
এ সম্পর্কে যদি আরো কিছু জানতে চান তাহলে আমরা আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছি আমাদের পরবর্তী
আর্টিকেলটি পড়ার জন্য।
0 Comments