বুকের মধ্যে কিছু কফ জমা স্বাভাবিক বিষয়। তবে কখনো কখনো অতিরিক্ত কফ জমার কারণে শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা, কাশি, ঘুমে ব্যাঘাত ঘটা ও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ সৃষ্টি করা ইত্যাদি। সাধারণত সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হলে বুকে কফের সৃষ্টি হয়। সময় মতো উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে হতে পারে নিউমোনিয়ার মতো সংক্রমণও। তাই আজকে আমরা জানবো, কীভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কফ দূর করা যায়। তাহলে চলুন শুরু করা যাক,
গরম
পানী
:
পরিমান মতো
গরম পানী পান
করলে কফ পাতলা
হয়ে কাশির সাহায্যে
সহজেই বের হয়ে
যায়। গবেষকরা বলেন, গরম
পানি কফ দূর
করে এবং শরীরকে
প্রশমিত করে।
আপনি চাইলে পুদিনা
পাতা, আদা, ক্যামোমাইল
ও রোজমেরি মিশিয়ে
চা বানিয়ে খেতে
পারেন। অথাবা পানিতে
ইউক্যালিপ্টাস তেল মিশিয়েনিন
তারপর বাষ্প নিশ্বাসের
মাধ্যমে গ্রহণ করতে
পারেন এতে আপনার
বুকে জমে থাকা
কফ দূর হবে।
এই তেলে রয়েছে
যন্ত্রণানাশক ও ব্যাকটেরিয়ারোধকারী
উপাদান যা অস্বস্তি
থেকে আরাম পাওয়া
যায়।
লেবু
ও
মধু
:
কুসুম গরম পানিতে মধু আর লেবুর রস মিশিয়ে খেলে বুক ও গলায় আরাম পাওয়া যায়। মধু শ্বাসযন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে, কফ কমায় ও গলা পরিস্কার করে এবং লেবু ভিটামিন সিরোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
হলুদ
:
কুসুম গরমপানিতে
এক চিমটি হলুদ
মিশিয়ে গড়গড়া করলে
কফ বা শ্লেষ্মা
কমে যায় এবং
শ্বাসকষ্ট থেকে আরাম
পাওয়া যায়।
কারন হলুদে আছে
‘কারকুমিন’ যা ফুসফুসের
ক্ষতি রক্ষা করে
ও সর্দি কাটাতে
দ্রুত কার্যকর।
আদা
:
একটি পাত্রে পরিমান মতো পানি ও এক টুকরো আদা কুচি করে পানির সাথে মিশিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। তারপর পাত্রটি নামিয়েনিন এবং কুসুম গরম হলে সেটি পান করুন। দেখবেন সমস্ত কফ উঠে যাবে। শুষ্ক কাশি থাকলে সেটি থেকেও মুক্তি পাবেন।
পেঁয়াজ :
পেঁয়াজেরনির্যাসে রয়েছে
‘কুয়ারসেটাইন’ যা
আমদের সর্দি থেকে
রক্ষা করে এবং
সংক্রমণ থেকো বাচায়।
পরিমান মতো পেঁয়াজের
রস, মধু, লেবুর
রস ও পানি
একসাথে মিশিয়ে কুসুম
গরম করে পান
করতে পারেন।
এতে কফ কমে
যায় এবং অস্বস্তি
থেকে আরাম পাওয়া
যায়। প্রতিদন তিন
থেকে চারবার করা
উচিত।
আশাকরি আর্টিকেলটি
আপনাদের ভাল লেগেছে।
যদি ভাল লেগে
থাকে তাহলে অবশ্যই
পরবর্তী লেখাটি পড়ার
বিনীত অনুরোধ রইল।
0 Comments