যুবকদের পছন্দের শীর্ষে থাকা ১০টি চাকরি

ব্যবসা-বাণিজ্যের এ দুর্দিনে সকলেই সরকারী বা প্রাইভেট চাকরির দিকে ঝুকছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিলযোগ্য চাকরির দিকেই যুবকদের বেশি ঝোক। কারণ, প্রত্যেকের একভাবে বেড়ে ওঠা সম্ভব না হলেও স্বপ্ন দেখায় কারো কোনো বাধা থাকে না। যুবকদের পছন্দনীয় শীর্ষ ১০টি চাকরি নিয়েই আজকের আয়োজন। স্যালারি রেঞ্জ যোগ্যতার ভিত্তিকে নির্ধিারিত হয়। এই রেঞ্জ শুধু ধারণা লাভের জন্য দেয়া হলো।

 

১. সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার :

উদ্ভাবন ও ইলেকট্রনিক্সের এ যুগে মানুষ অনলাইন ও ডিভাইসভিত্তিক কাজকেই বেশি পছন্দ করে। ডিভাইসভিত্তিক সকল কাজেই সফটওয়্যারের প্রয়োজন হয়। সফটওয়্যারকে মেশিনের রূহ বলা হয়। বড় বড় আইটি কোম্পানি ছাড়াও প্রডাক্টিভ সকল কোম্পানিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের অনেক মূল্যায়ন করা হয়।

স্যালারি রেঞ্জ : ৭০ হাজার - ৩ লক্ষ টাকা।


২. ওয়েব ডিজাইনার :

স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের যুগ পেছনে ফেলে বর্তমানে চলছে ডায়ানামিক ও দৃষ্টিনন্দন ওয়েবসাইটের যুগ। যুগের এ চাহিদাকে ক্রমে তুঙ্গে তুলছে ওয়েবসাইট বিল্ডার ব্যাক্তিগত বা প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলো। এসব কোম্পানিতে ক্রিয়েটিভ ও রুচিশীল ওয়েব ডিজাইনারদের চাহিদা অনেক বেশি। ছোট একটি ওয়েবসাইটের কাজ একা একা করতে বহু সময়ের প্রয়োজন হয়। তাই ওয়েব ডিজাইন মানেই টিমওয়ার্ক। টিমওয়ার্ক যেখানে, লোক হায়ার করাও সেখানে। বাস, নিজের যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে নিজের গায়ে ঝুলিয়ে নিন হায়ার্ড সাইনবোর্ড।

স্যালারি রেঞ্জ : ৪০ হাজার - ২ লক্ষ টাকা।


৩. এস.ই.ও কনসাল্টেন্ট :

মেশিন লার্নিং করতে করতে মানুষ নিজেই একেকটা মেশিনে পরিণত হয়ে গেছে যদি অফিসে হঠাৎ করে ইন্টারনেট চলে যায়; সাথে সাথে আমরা ভাবতে থাকি- হায়! ইন্টারনেট চলে গেছে, এখন ভাত খাবো কিভাবে? আরে ভাই, আমরা মানুষ! মেশিন না ইন্টারনেট ছাড়াও ভাত খেতে পারবো কিন্তু কিওয়ার্ড চাড়া সার্চ ইঞ্জিনগুলো নাকি চলতে পারে না তাই প্রয়োজন হয় সার্চ ইঞ্চিন অপটিমাইজেশন বা এস..ও করা যখন কোনো কিছুর প্রয়োজন হয়, সেখানো কোম্পানিও তৈরি হয় কোম্পানি মানেই তো চাকরি!!

স্যালারি রেঞ্জ : ৩৫ হাজার - ১ লক্ষ টাকা

 

৪. গ্রাফিক্স ডিজাইনার :

আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে সবকিছুতেই খুঁজে পাবো গ্রাফিক্সের ডিজাইন বিস্কুট, চানাচুর, চকলেটের প্যাকেটও তৈরি হয় এ ডিজাইনের মাধ্যমে। ছবি, বিলবোর্ড, পোস্টার, হ্যান্ডবিল এগুলোতো কমন। কম্পিউটারের মাউস রাখার মাউসপ্যাডটিও গ্রাফিক্সের একটি অংশ। বই, খাতা, পেপার-পত্রিকা সবজায়গাতেই রয়েছে গ্রাফিক্সের কাজ। কাজ যতো বেশি হয়, জনবলও ততো বেশি লাগে।

স্যালারি রেঞ্জ : ৩০ হাজার - ১ লক্ষ টাকা।


৫. সি.ই.ও :

চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মানেই তো সকল অফিসারের চিফ। ছোট ছোট কোম্পানি থেকে শুরু করে বড় বড় সব কোম্পানি পরিচালিত হয় সিইও এর মাধ্যমে। প্রতিষ্ঠানের সাকসেস ও ফেইলর হওয়া নির্ভর করে সিইওর ওপর। আমাদের দেশে এ পদকে পরিচালক বললে মানানসই হবে। বড় কোম্পানির সিইও হলে তো অনেক বেতন হয়। আমরা ছোট ছোট কোম্পানির সিইওর বেতন উল্লেখ করছি।     

স্যালারি রেঞ্জ : ২০ হাজার - ৯০ হাজার টাকা।

 

৬. ম্যানেজার :

আমাদের দেশে বহুল প্রচলিত একটি পদ ম্যানেজার। জাতীয় একটি পদবী ‘ম্যানেজার’। যেখানেই সমস্যা, সেখানেই “এই ম্যানেজারকে ডাকো!”। এই ম্যানেজার পদটিতে হোটেল, রেস্টুরেন্ট, পিকনিক স্পটসহ ছোট খাটো অনেক কোম্পানিতেই জনবল নিয়ে থাকে। এ পদটি আম পাবলিকের পছন্দনীয় বটে।

স্যালারি রেঞ্জ : ২৫ হাজার - ১ লক্ষ টাকা।

 

৭. কন্টেন্ট রাইটার :

লেখালেখিতে যাদের ভালো দক্ষতা আছে। তাদের জন্য রয়েছে ঘরে বসে ইনকাম করার সুযোগ। বিভিন্ন বিষয়ে লেখে যারা ইনকাম করে তাদেরকে কন্টেন্ট রাইটার বলে। আইটি কোম্পানিগুলোতে কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। যাদের টাইপ করার ধৈর্য্য ও মানসিকতা আছে তারা এ জবটি চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

স্যালারি রেঞ্জ : ১৫ হাজার - ৬০ হাজার টাকা।

 

৮. গার্মেন্টস এমপ্লয়ি :

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গার্মেন্টস সেক্টরের অনেক অবদান রয়েছে। তাছাড়া এখানে সবশ্রেণির লোকজনই কাজ করতে পারে। শিক্ষা-দীক্ষায় ভালো হলে এখানে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। জেনারেল ম্যানেজার, প্রোডাকশন ম্যানেজার, মার্চেন্ডাইজার, ফ্যাশন ডিজাইনার, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারসহ নানা পদে ভালো মানের বেতন পে করে থাকে। এছাড়াও অভিজ্ঞতার আলোকে থাকে পদোন্নতির সুযোগ। কম্পিউটার ও ইংরেজি জানা থাকলে ৩০ হাজার টাকা স্যালারি দিয়ে শুরু করা কর্মজীবন।  

স্যালারি রেঞ্জ : ২০ হাজার - ৩ লক্ষ টাকা।


৯. একাউন্টেন্ট :

কোনো প্রতিষ্ঠান পরিচালনার মুল চালিকা শক্তি হলো অর্থ। এই অর্থ পরিচালিত হয় একজন একাউন্টেন্টের মাধ্যমে। টাকার আয়-ব্যয় সবকিছুই হয় এই সেক্টরের মাধ্যমে। আমাদের দেশে এর সিমিলার নাম ক্যাশিয়ার। যিনি ক্যাশ নিয়ে লেনদেন করেন তাকে আমরা ক্যাশিয়ার হিসেবে জানি।

স্যালারি রেঞ্জ : ২০ হাজার - ৫০ হাজার টাকা।


১০. সোসাল মিডিয়া মার্কেটার :

ভাত ছিটালে কাকের অভাব হয় না। যেখানে ভাত সেখানে কাকা; যেখানে মানুষ সেখানে মার্কেটার। যেখানেই লোকজন জড়ো হয়, কোম্পানিগুলো সেখানেই বিজ্ঞাপন দেয়ার চিন্তা-ভাবনা শুরু করতে থাকে। বর্তমানে তরুণ, তরুণী, বৃদ্ধ সবাই সোসাল মিডিয়াতে একটিভ থাকে। তাই সোসাল মিডিয়ায় প্রচারণা, বিজ্ঞাপন চালনার জন্য দরকার হয় সোসাল মিডিয়া মার্কেটার। সোসাল মিডিয়া নিয়ে যাদের ভালো ধারণা আছে তারা এ জবটি ট্রাই করতে পারেন।

স্যালারি রেঞ্জ : ৩০ হাজার - ৪০ হাজার টাকা।




Post a Comment

0 Comments