নাকের ভিতরে এক ধরনের মাংসপিন্ড সৃষ্টি হয়। যাকে আমরা অনেকেই পলিপ বলে থাকি। নাকে পলিপ হলে শ্বাসকষ্ট সহ নাকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। পলিপ নাকের দুইপাশেই হতে পারে।
সাধারণত দীর্ঘদিন ধরে সর্দি, কাশি বা এলার্জির কারণে বিনা চিকিৎসায় থাকলে পলিপ হতে পারে। পলিপ দুই ধরনের হয়ে থাকে যথা ইথময়েডাল ও অ্যান্ট্রোকোয়োনাল পলিপ।
ইথময়েডাল : এটি নাকের উপরের সেতু হিসেবে কাজ করে। ইথময়েডাল অনেকগুলো কোষের সমন্বয়ে সৃষ্ট একটি ঝিল্লি। যেহেতু আমাদের কোষের দেয়ালগুলো পাতলা থাকে তাই এগুলোতে পানি জমে ফুলে যায় এবং নাক বন্ধ হয়ে যায় এর ফলে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
অ্যান্ট্রোকোয়োনাল : অতিরিক্ত অ্যালার্জির সংক্রমণের ফলে এ ধরনের পলিপ হয়ে থাকে। অ্যান্ট্রোকোয়োনাল পলিপ নাকের পিছন দিক থেকে শুরু করে গলায় গিয়ে বাড়তে বাড়তে পুরো নাক বন্ধ হয়ে যায় এবং একসময় অস্ত্রোপচার করতে হয়। সুতরাং আজকে আমরা জানবো ঘরোয়া উপায়ে কীভাবে পলিপ দূর করা যায়। তাহলে চলুন শুরু করা যাকঃ-
আদা : আদাতে রয়েছে অনেক উপকারী সব উপাদান যা শরীরে সংক্রমণ বিরোধী পুষ্টি যোগায়। গবেষণায় দেখা গেছে, আদাতে আছে অ্যান্টিমাক্রোবিয়াল ও সংক্রমণবিরোধী উপদান। নাকের পলিপ দূর করার জন্য নিয়মিত রান্নায় আদার গুঁড়া ব্যবহার করুন এবং নিয়মিত আদার চা পান করুন।
রসুন : রসুন রয়েছে অনেক ওষুধি গুণ ক্ষমতা যা পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবেও কাজ করে। আদার মতো রসুনও নাকের পলিপ সমস্যার বেশ কার্যকারী উপাদান। নিয়মিত কাচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তলুন অথাবা প্রতিদিন রসুন কুঁচি করে গরম পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন এতে পলিপ থেকে মুক্তি পাবেন।
হলুদ : হলুদে আছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমূহ। যা আমাদেরকে শারীরিক বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে বাঁচায়। গবেষণায় দেখা গেছে, হলুদ এলার্জির সমস্যা সমাধান করে থাকে। তাই নিয়মিত খাবারে এক থেকে দুই চা চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে খান। এর পাশাপাশি নিয়মিত হলুদের চা অথবা কুসুম গরম পানিতে হলুদের গুঁড়া ও মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
আশাকরি আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে পরবর্তী আর্টিকেলটি পড়ার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি।
0 Comments